স্টার জলসার (Star Jalsha) মেয়েবেলা (Meyebela) ধারাবাহিক এখন সবসময় শিরোনামে। ধারাবাহিকের কাহিনীর জন্য নয়, মেয়েবেলা ধারাবাহিকের অভিনেত্রীর কারণে। সকলেই জানেন, এই ধারাবাহিকের বীথি চরিত্র অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলী (Rupa Ganguly) অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন। কারণটা সম্পর্কে সকলেই অবগত। অভিনেত্রীর দাবি, তাঁর বীথি চরিত্রটিকে এতটাই নেতিবাচক করে তোলা হচ্ছিল যা অভিনেত্রীর পছন্দ হচ্ছিলনা। এতদিন এটাই জানা যাচ্ছিল, তবে এবার গল্পের অপর দিকটাও জানা গেলো।
মেয়েবেলার এক সদস্য সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, মেয়েবেলা মূল গল্প থেকে একেবারেই সরে আসেনি। মেয়েবেলার মূল মন্ত্র ছিল মেয়েরা মেয়েদের শত্রু নয়। এইটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া। একটা মেয়েই পারে আর একটি মেয়েকে উত্তরণের রাস্তায় নিয়ে যেতে, এই সত্যকে প্রতিষ্ঠা করা। মউ এঁর হাত ধরে বীথি মাসির সেই উত্তরণই তো ঘটবে। কীভাবে ঘটবে, কোন কোন ঘটনার মধ্যে দিয়ে ঘটবে, সেটাই তো মূল গল্প।
মেয়েবেলার নির্মাতা, নির্দেশক, প্রযোজক, সকলের বক্তব্য একটাই মেয়েবেলার গল্প নিয়ে অযথা বিতর্ক যেন বন্ধ হয়। মেয়েবেলা মেয়েবেলাতেই আছে… অন্য অধিকাংশ ধারাবাহিকের মত, মেয়েবেলাতে শাশুড়ি-মা ছেলের বৌকে বিষ দিয়ে মারার চেষ্টা করেন না। অমানুষের মত ব্যবহার করেন না। মানুষ রিয়েল লাইফে কাউকে অপছন্দ করলে যতটুকু দুর্ববহ্যার করে সেটুকুই করেন। যিনি মেয়েবেলায় এত দিন অবধি বীথিকা মিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন, তাঁকে মেয়েবেলার প্রতিটা সদস্য ভয়ানক সম্মান করে। প্রাণ ঢেলে ভালোবাসে……… কিন্তু উনি কী করলেন?
এক মঙ্গলবার দুপুরে আচমকা শুটিং এঁর মাঝপথে বললেন ওনার ভালো লাগছে না শুটিং করতে। এটুকু বলে উনি বাড়ি চলে গেলেন। গোটা মেয়েবেলা ইউনিট। তার প্রতিটা সদস্য, কী ভয়ানক বিপদের মুখে পড়লো উনি একবারও ভাবলেন না। সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে আমরা কী জবাব দেবো সে কথা মনেও আনলেন না। যদিও চ্যানেল সব সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছে। কিন্তু তাদের তো রোজ এপিসোড টেলিকাস্ট করতে হবে।
তারাও তো মারাত্বক এক বিপদের মুখে গিয়ে দাঁড়ালো। উনি কারুর কোনো কথা কানেই তুলললেন না। এই যারা বলেন, টিভির গল্প অমুক, হয় বা তমুক হয়, তারা প্লিজ একবার আমাদের ফ্লোর গুলোতে এসে দেখুন। আমরা কীভাবে একটা শো এগিয়ে নিয়ে যাই। মেয়েবেলা প্রায় বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছিলো। ইউনিটের প্রতিটা মেম্বার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছিলো বলে তা হয়নি। বীথিকা মিত্রের চরিত্রে অভিনয়কারী মানুষটির শুরুর থেকেই তুঘলকি আচরণ ছিল।
আজ না, ভালো লাগছে না, আজ না অনেক সিন……… দিদি গো, ৭০/৮০ জন মানুষ, এবং তাদের পরিবার দু বেলা খেতে পায়, এই তোমার মেয়েবেলার জন্য। মুড সুইং এঁর জন্য ইউনিট এর কোন সদস্যের ৩ বছরের বাচ্চার দুধ বন্ধ হয়ে যায় দিদি। আপনি একটা গোটা ইউনিটকে বিপদে ফেলতে পারেন না। আপনি একদিন হঠাত বলতে পারেন না, আমি আর শুট করবো না মেয়েবেলা। এটা একটা কাজ দিদি। এত গুলো মানুষের পেট চলে এটা দিয়ে। আপনি আপনার মর্জি মত চলে গেলেন… ইউনিট এর কী হাল হলো খোঁজ নিয়েছিলেন?
Leave a Comment