জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu) সকল দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক। পর্ণা-সৃজনের টক-মিষ্টি-ঝাল সম্পর্কে সকলেই অভিভূত। কিন্তু এই সম্পর্কের মাঝে ছিল একজন তৃতীয় ব্যক্তি। যে সব সময় পর্ণা সৃজনকে আলাদা করতে চেয়েছে, দুজনকে কখনোই একসাথে থাকতে দেয়না। এই তৃতীয় ব্যক্তির নাম তিন্নি। টেলিভিশনের পর্দায় তিন্নি শয়তানি হলেও, বাস্তব জীবনটা তাঁর অন্যরকম।
এই তিন্নির চরিত্রে যিনি অভিনয় করছেন তিনি হলেন, নবনীতা মালাকার (Nabanita Malakar)। পর্দায় তাঁর চরিত্র একেবারে অসহ্যকর। বাস্তব জীবনের কাহিনী শুনলে চোখে জল আসবেই। অভিনেত্রীর বাড়ি জলপাইগুড়ি। জলপাইগুড়ি থেকে টালিগঞ্জ এই পথচলাটা অতটা সহজ ছিল না। খুবই কষ্টের। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। বাড়িতে রয়েছে বোন। বাবা-মাও অসুস্থ তাই বাবা মায়ের অনিচ্ছা সত্ত্বেও অভিনয় করতে হয়।
জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘ঘরে ঘরে জি বাংলা’ তে নবনীতা তাঁর সেই জীবনকাহিনি সকলের সামনে আনলেন। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। ছোটো থেকেই আর্থিক অনটনের মধ্যে জীবন অতিবাহিত হয়েছে। ছোটবেলা থেকেই একচালার বাড়িতে মানুষ হয়েছেন। বর্তমানে রোজগার করে বাবা-মায়ের জন্য একটা বাড়ি বানিয়ে দিচ্ছেন।
জলপাইগুড়িতে সাধারণত কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার চল রয়েছে। কিন্তু বাবা-মা তাঁকে জানিয়েছেন, আগে নিজের পায়ে দাঁড়াও তারপর বিয়ে। আজ মা-বাবা পাশে ছিলেন বলেই আজ কেরিয়ারে এতটাই সফল। ইচ্ছে ছিল না নিম ফুলের মধু তে খল চরিত্রে অভিনয়ের। আর্থিক চাপে পড়ে আজ পর্যায়ে আসতে হয়েছে।
এর আগে তাঁকে দেখা গিয়েছিল ‘পুণ্যিপুকুর’, ‘মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য’, ‘মনসা’, ‘মঙ্গলচন্ডী’র মত একাধিক ধারাবাহিকে। মুখ্য চরিত্রেও অভিনয় করেছেন। আর্থিক অনটন তাঁর জীবনে এমন ভাবে এসে পড়ল, মুখ্য চরিত্র ছেড়ে খল চরিত্র বেছে নিতে হল। আগে যা টাকা রোজগার করেছিলেন সেই টাকা দিয়ে একবছর চালিয়েছিলেন। এরপর টাকা না থাকায় এই চরিত্রে। তবে নবনীতা মনে করেন কাজের ক্ষেত্রে পারফরম্যান্সই আসল। খল চরিত্র হোক কিংবা মুখ্য চরিত্র সেটা আসল কথা নয়।
Leave a Comment