বর্তমানে বাংলা সিরিয়ালের জগতে ষ্টার জলসার (Star Jalsha) অনুরাগের ছোঁয়ার (Anurager Chowa) জনপ্রিয়তা আলাদাই। প্রতিটা দিন সূর্য-দীপার কাহিনী দেখার জন্য রীতিমত অপেক্ষায় থাকেন দর্শকেরা। ছোট্ট সোনা-রুপা কবে ফিরে পাবে তাদের আসল বাবা-মাকে এই চিন্তা যেমন রয়েছে, তেমনি দুজনের মিল দেখার অপেক্ষা। এসবের মাঝে মিশকার শয়তানি তো রয়েছেই।
যাঁরা প্রতিদিন সিরিয়াল দেখেই তাঁরা জানেন প্রতিদিন একেরপর এক ধামাকা পর্ব হচ্ছে। মিশকা সূর্যকে পরামর্শ দিয়েছিল ডিভোর্সের জন্য। কিন্তু সেটা হিতে বিপরীত হয়েছে, আলাদা নয় বরং কোর্টের আদেশে আগামী ৬ মাসের জন্য এক ছাদের তলায় থাকতে হবে সূর্য-দীপাকে। এটাই হবে দুজনের কাছাকাছি হওয়ার উপায়, সেটা বোঝাই যাচ্ছে একেরপর এক পর্ব দেখে।
মিশকা এসবের পরেও থেমে থাকেনি। সে এবার সূর্য আর দীপার মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতে সোনাকে ঘুটির মত ব্যবহার করতে চলেছে। আর ছোট্ট সোনা মিশকার ফাঁদে পা দিয়ে দিয়েছে। সে নিজের বাবাকে দেখতেও চায়। বাবার কাছে যেতে চায়। তাকে কেউ বাবার কাছে নিয়ে যাচ্ছেনা। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগে মিশকা।
সে সোনার স্কুলে পৌঁছে যায় আর মেডিকেল ক্যাম্পের অছিলায় সোনাকে বোঝায় যে সে তাকে তার বাবার কাছে পৌঁছে দেবে। কিন্তু তার আর মিশকার মাঝে যা কথা হবে সে সেই কথা কাউকে বলতে পারবেনা। এমনকি রূপাকেও না। বাবাকে দেখতে পাবে সেই আশায় রুপাকে কোনো কথা বলেনা সোনা। উপরন্তু তাকে বলে তোমার সাথে আমার কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।
ছোট্ট রুপা মনে বড় কষ্ট পায়। সে কিছুতেই বুঝে পায়না যে তার বন্ধু হিংসুকুটি তার সাথে এমন ব্যবহার কেন করছে। তার সাথে তো সোনার কোনো ঝগড়া হয়নি। তবে সে ভাবতে ভাবতেই সোনাকে মাঝখান থেকে স্কুল থেকে নিতে আসে মিশকা আর স্কুলের গার্ডকে মিশকা তার বাবার বন্ধু চেনা একথা বলে মিশকার সাথে বাবাকে দেখার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরে সোনা। কেউই জানতে পারেনা কিছু।
Leave a Comment