সব ধারাবাহিকের কাহিনী কিন্তু একরকম হয়না। প্রত্যেকটি ধারাবাহিক তার কাহিনীর দিক থেকে আলাদা। আবার প্রত্যেকটি প্রডাকশনের ধারাবাহিক আলাদা। এই যেমন স্নেহাশিষ গাঙ্গুলীর প্রোডাকশন হাউজ ব্লুজের ধারাবাহিক গুলোর প্রধান লক্ষ্য হল নারীকেন্দ্রিক। নারীকে কেন্দ্র করেই সেগুলো সম্প্রচার হয়। নারীই শক্তি। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে জগদ্ধাত্রী, মুকুট দুটোতেই নারী শক্তির জয়জয়কার।
আবার অ্যাক্রোপলিসের (SVF Production House) ধারাবাহিক মানেই নায়ক নায়িকা দুজনেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নায়ক নায়িকার ঝগড়া হলেও তাদের মধ্যে বেশ টান দেখা যায়। একটা সুন্দর প্রেমের সম্পর্ক। এই প্রোডাকশনের ধারাবাহিক হল গাঁটছড়া, তুমি যে আমার মা, কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ এবং তুঁতে। এই সব ধারাবাহিকেই দেখা যাচ্ছে এরকম কাহিনী। টেন্টের ধারাবাহিক মানেই নায়ক-নায়িকার সমঝোতা লক্ষণীয়।
এই যেমন দেখা যায়, বাংলা মিডিয়াম ধারাবাহিকে। এর আগে দেখা গিয়েছিল উমা, জয়ী ধারাবাহিকে। এরপর আসা যাক, এসভিএফ। এসভিএফ মানেই নাকি কষ্ট আর কষ্ট। এদের ধারাবাহিক গুলোতে কষ্টের শেষ নেই। এদের সব ধারাবাহিক জনপ্রিয় হলেও, চোখের জল এখানে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই প্রোডাকশনের ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়াতে দুঃখের কাহিনীই দেখা যাচ্ছে।
এসভিএফ প্রোডাকশনের উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক হল মা, বোঝেনা সে বোঝেনা, পটল কুমার গানওয়ালা। এই সব ধারাবাহিকেও ছিল করুণ কাহিনী। কিন্তু এছাড়াও ছিল আরও উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক, সেগুলোতে এমন করুণ কাহিনীর দেখা মেলেনি, যেমন গোয়েন্দা গিন্নি, গোপাল ভাঁড় বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তাই তো এক নেটিজেন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘SVF এর Leads দের জীবন থেকে কষ্ট দূরই হয়না!
মা ধারাবাহিকে সারা সিরিয়াল জুড়ে মা মেয়ে কষ্ট করে গেল! পটল কুমার গানওয়ালা তে সারা সিরিয়াল জুড়ে পটল , পটলের বাবা , সুভাগা কষ্ট করে গেল – পটলের মা তো শুরুতেই মরে গেল! অনুরাগের ছোঁয়া তে সূর্য, দীপা , সোনা, রূপা সবাই কষ্ট করে বেড়াচ্ছে! তিনটিই একই প্রোডাকশন এর আর তিনটাই অল টাইম ব্লকবাস্টার! তবে সব সিরিয়ালে যে একই ব্যাপার তাও নাহ , যেমন বোঝেনা সে বোঝেনা একদম আলাদা!’
Leave a Comment