খবরগসিপটলিউডবিনোদনভাইরালসিরিয়াল

‘এখন এসবের আর দরকার নেই…’, ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর এক বছর পর কী নিয়ে কথা বললেন সব্যসাচী?

“আমার যে কিছুই বলার নেই,” এটুকু বলে প্রথমবারের মতো ফোন কেটে পরে আবার ফোন করলেন সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। শান্ত স্বর, অথচ গম্ভীর। আর এর পরেই ফোনের ওপার থেকে তাঁর প্রশ্ন, “বলুন, কী জানতে চান?” ‘কেমন আছেন’ প্রশ্ন, প্রতিবেদকের। আবারও সেই স্বর। “ভাল আছি। শুটিং করছি। রোজই যেতে হয়। ধারাবাহিকের চাপ থাকে তো।” বললেন ঐন্দ্রিলার “আদর্শ প্রেমিক”।

গতবছর (২০২২) এই নভেম্বর(November) মাসেই একটি ২৪ বছর মেয়ের মৃত্যু ঘিরে কেঁদে উঠেছিল গোটা বাংলা। টানা ১৯ দিন হাসপাতালে লড়াই করেছিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। ২০ নভেম্বর সকলকে কাঁদিয়ে চিরতরে হারিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। গতবছর দিওয়ালির পর পরই আচমকাই অসুস্থ হওয়া তরপর হাসপাতাযে চলা জীবন যুদ্ধ, আত্মীয় পরিজনদের উদ্বিগ্নতা সবের ময় কাটিয়ে চলে যান তিনি না ফেরার দেশে।

আজ একবছর হল তিনি পার্থিব জগতের সব মায়া মমতা কাটিয়ে অনেক উর্দ্ধে চলে গেছেন। ঘটনাচক্রে প্রয়াত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার মা শিখাদেবীও ক্যানসারে আক্রান্ত। ২০২২-এর ২০ নভেম্বর ক্যানসারজয়ী ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর এক বছর পর, আজ, ওই দিনে, ছোট্ট মেয়ের ছেলেবেলার প্রিয় বহরমপুরে বৃক্ষরোপণ করবেন, বস্ত্রবিতরণ করবেন শিখাদেবী। অভাবী মানুষকে খাওয়াবেন বলেও ঠিক করেছেন ক্যানসার আক্রান্ত শিখাদেবী। এভাবেই মেয়েকে জড়িয়ে রাখবেন সকলের মাঝে।

এদিকে ঐন্দ্রিলা চলে যেতেই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন সব্যসাচী। প্রতিবেদকের প্রশ্নের উত্তরে নিজেই বললেন, “অনেকেই প্রশ্ন করেন আজকাল, সামাজিক মাধ্যমে ফিরি না কেন? আমার কি কিছুই বলার নেই? আমি প্রয়োজন বোধ করি না। এরকমটাই ছিলাম আজীবন। নিজে কোনওদিনও পিআর রেখে ফেসবুক-ইনস্টা করিনি। ও (ঐন্দ্রিলা শর্মা) জোর করত। লেখালিখি শুরু করেছিলাম। আর তো এ সবের প্রয়োজন দেখি না।”

গত বছর অভিনেতা সৌরভ দাসের সঙ্গে রেস্তোরাঁ খুলেছিলেন সব্যসাচী। প্রথম দিনে ঐন্দ্রিলাকে জড়িয়ে দিয়েছিলেন এক ছবিও। তিনি জানালেন “খুব যে যাওয়া হয়, তা নয়। শুটিং থাকে। কাজ থাকে। মাঝেমধ্যে যাই। আগের মতো হয়ে গিয়েছি। আসলে আমি কে, মানুষটা আদপে কেমন, তা কেউ জানত না। আমি কিন্তু বরাবরই চুপচাপই ছিলাম। বাইরে থেকে পড়েছি। এখানে এসে সিনেমা-সিরিয়াল। ওর সঙ্গে আলাপ। তারপর ওই যেটুকু যা রিলস… আমি কিন্তু নিজে কোনওদিনও…” চুপ করলেন আবারও। ফের বললেন, “ওটা ওই ও দেখত। এখন এ সবের আর দরকার নেই। ঠিক আছে সব। চলছে…।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button