Kar Kache Koi Moner Katha : জি বাংলার (Zee Bangla) একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’। ধারাবাহিকটি শুরু থেকেই দর্শকদের মনে দাগ কেটেছে। শিমুল একটা অসুস্থ বিয়েতে জড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু হেরে গেলেই যে মোর যেতে হবে। তাই শিমুল প্রতিবাদের পথটাই বেছে নিয়েছে। প্রথমে লড়াইটা সে একাই শুরু করেছিল। তবে বর্তমানে তার শাশুড়ি তার পাশে দাঁড়িয়েছেন সর্বত ভাবে।
সেই মতো ধারাবাহিকের কাহিনীতে দেখা যাচ্ছে, শিমুলের বাড়বাড়ন্ত সহ্য করতে না পেরে বিজয়া দশমীর দিন পরাগ আর পলাশ মিলে সিদ্ধিতে বিষ মিশিয়ে শিমুলকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। শিমুল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। মৃত্যুর সাথে লড়াই করে। শিমুলের প্রতিবেশী বন্ধুদের এই ঘটনা নিয়ে পরাগ ও পলাশের উপর সন্দেহ হয়।
তাই শিমুলের জ্ঞান ফিরতেই বিপাশারা থানায় গিয়ে উপস্থিত হয়। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসা করে, কাদের সন্দেহ হয়? বিপাশারা পরাগ আর পলাশের কথা বলে। প্রমাণ না থাকায় তারা ছাড় পেয়ে যায়। তারপর দেখা যায় পরাগ আর পলাশ নাটক করে শিমুলকে বাড়ি নিয়ে আসতে যায়। যাতে তাদের উপর দোষ না পড়ে। শিমুলরা সবটাই বুঝতে পারে।
শিমুল জানিয়ে দেয়, ওই বাড়িতে সে ফিরলেও পরাগের সাথে ওর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। পুতুল দি এবং শাশুড়ি মার জন্য সে ওই বাড়িতে ফিরছে। এই বলে শিমুল বাড়ি ফেরে। মধুবালা দেবী তার একটুও অযত্ন করেননা। সবসময় তার খেয়াল রাখে । ঠিক সেই সময় পুলিশ এসে হাজির হয় শিমুলদের বাড়ি।
পরাগ শিমুলকে জিজ্ঞাসা করে, ‘সত্যিই কি আমি তোমার খাবারে বিষ মিশিয়েছি’? শিমুল পুলিশকে জানায়, ‘এই কাজের জন্য আমি ওদের দায়ী করছিনা। ওদের আপনি থানায় নিয়ে যাবেন না, কেসটা মিটিয়ে নিন। ওদের সাথে মতবিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু ওরা একাজ করতে পারেনা। পাড়ার লোকের সাথে ওদের অনেক শত্রুতা রয়েছে, তাই তারা ওদের সন্দেহ করছে। কিন্তু ওরা কিছুই করেনি, আমি নিজেই এ কাজ করেছি’।
Leave a Comment