‘শুধু পাশাপাশি বসাটাই সব…’, রুবেলের বক্ষলগ্না হয়ে গদগদ পোস্ট শ্বেতার

Trisha

No comments

ছোট পর্দা হোক বা বড়ো পর্দা গ্ল্যামার দুনিয়াতে সবাই জানে প্রেম ভালোবাসা ক্ষনিকের। কিন্তু তার মাঝেই নিজেদের অমর প্রেমকে খুঁজে পান অনেকেই। তেমনি বাংলা সিরিয়ালে বহু তারকা দীর্ঘদিন কাজের সুবাদে নিজেদের সহ অভিনেতা-অভিনেত্রীর প্রেমে পড়েছেন। সেরকমই জি বাংলা (Zee Bangla) চ্যানেলের যমুনা ঢাকি (Jomuna Dhaki) সিরিয়ালের নায়ক এবং নায়িকা রুবেল দাস (Rubel Das) ও শ্বেতা ভট্টাচার্য (Sweta Bhattacharya) -র প্রেমের গল্প।

ধারাবাহিকে আসার বহু আগেই ক্লাস সেভেনে তাদের পরিচয়, যদিও এই পরিচয় কখনো ভালোবাসায় গিয়ে থামবে তা কেউই ভাবেননি। শ্বেতা এবং রুবেল দুজনের পরিবারই তাদের জুটি পছন্দ করেন। দুই পরিবারই দুজনকে আগলে রাখে। শ্বেতা বলেন তার মা-বাবাই নাকি রুবেলকে আগে পছন্দ করেছিলেন মেয়ের জন্য।

তবে হাসিখুশি মেয়েটির ওপর দিয়ে বেশ কয়েকমাস গেছে অনেক ঝড়ঝাপটা। একদিকে মা তো অন্যদিকে রুবেল। দুজন প্রিয় মানুষের অসুস্থতায় কাহিল হয়ে পড়েছিলেন শ্বেতা। সোশ্যাল মিডিয়ার মারফত নিজের কষ্টের দিনের কথাও মাঝে মধ্যেই তুলে ধরেছেন তিনি।

রুবেলের অসুস্থতা নিয়ে কিছুদিন আগেই কোনো রাখঢাক না রেখেই সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছিলেন যমুনা। তিনি লিখেছিলেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে চ্যাম্প, তুমি খুব সাহসি মানুষ। আমার বিশ্বাস তুমি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। তুমি ভাল, তাই তোমার সঙ্গে কোনও খারাপ কিছু হতেই পারে না। শুধু কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। লাভ ইউ বাবাই, আমি সব সময় তোমার সঙ্গে থাকব। এবারে আবার শনিবার ফ্লোরাল প্রিন্টার জামা সঙ্গে কান ভারী ঝুমকা পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে কয়েকটি ছবি পোস্ট করলেন অভিনেত্রী। একটা ছবিতে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেছেন। অপরটিতে মাথা রেখেছেন পিঠে। আর শেষ ছবিটায় বসে আছেন পাশাপাশি। লিখলেন , ‘একেকসময় শুধু পাশাপাশি বসাটাই সব…’

মাও ছিলেন অসুস্থ। পুজোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত মাকে নিয়েও পোস্ট দেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। গত মাসে মায়ের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, ‘মা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো মা। আমি যে আর পারছি না। তুমি ছাড়া আমার যে আর কেউ নেই।’

আবার এদিকে দশমীতে স্বয়ং রুবেল নিজের অসুস্থতা নিয়ে জানিয়েছেন , ‘শুভ বিজয়া জানাই সকলকে। এবার পুজো আমার কেটেছে ডেঙ্গির সঙ্গে। দ্বিতীয়া থেকে শুরু করে এখনও লড়াই শুধু সুস্থ হওয়া নিয়ে। তবে পরিবার পাশে না থাকলে এই লড়াই অনেক কঠিন ছিল, বিশেষ করে শ্বেতা না থাকলে সুস্থ হওয়া খুবই কঠিন ছিল। আমার জন্যে তুমি নিজে ঠাকুর দর্শন পর্যন্ত করলে না।’

Leave a Comment