কেন পালন করা হয় বিপত্তারিণীর ব্রত? রইল চমকে দেওয়া অজানা কাহিনী

Saranya

No comments

‘বিপত্তারিণী’ (Bipattarini Broto) এই শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে আছে, বিপদকে তাড়ানোর কথা। আষাঢ় মাসের রথযাত্রা থেকে উল্টোরথের মধ্যে  শনিবার ও মঙ্গলবারে এই পূজা করা হয়। দেবী দুর্গার ১০৮ তম রূপের একটা রূপ হল বিপত্তারিণী। হিন্দু ধর্মে এই বিপত্তারিণীর গুরুত্ব অপরিসীম। বিপদ থেকে রক্ষা পেতে এই পূজা করা হয়। মানুষের বিশ্বাস এই পূজা করলে সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। 

পূজার রীতিনীতি : যেদিন এই পূজা করা হয়, সেই দিন চালজাত জিনিস খাওয়া চলবে না। মুড়ি, ভাত, চিড়ে,  এসব খাওয়া যাবেনা। ১৩টি ফল, ১৩টি ফুল, ১৩টি সুপুরি ও ১৩ রকম নৈবেদ্য দিয়ে এই পূজা করতে হবে। এর সাথে থাকবে ১৩ টা গিট দিয়ে লাল সুতা। তাতে থাকবে ১৩ টি দূর্বা। আর এই লাল ধাগা  হাতে পড়তে হয়। মনস্কামনা পূরণ হলে অনেকেই নদীতে স্নান সেরে দণ্ডী কেটে পূজা দেন। 

বিখ্যাত জায়গা : কলকাতার রাজপুরে মন্দির রয়েছে। এছাড়াও কলকাতার কালিঘাটে এই পূজা হয়। তাছাড়া প্রত্যেক গ্রামে এই পূজার চল রয়েছে। 
উপকারিতা : এই পূজা করলে সংসারের সমস্ত বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

পূজার কাহিনী : বিপত্তারিণী পূজার একটি গল্প রয়েছে। শোনা যায় বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজবংশের রানীর এক সখী ছিল। সে ছিল নিম্নবর্ণের মানুষ। এই সখী প্রতিদিন গো মাংস খেত। তাঁর জাত ছিল মুচি। রানিরও একদিন ইচ্ছা গেছে এই গো মাংস ভক্ষণ করার। তাই রানী তাকে আদেশ দেন গো মাংস আনার। ওই সখী এই কাজে রাজি ছিলেন না। আদেশ রক্ষার্থে তিনি গো মাংস আনেন। রাজবাড়িতে গো মাংস! এই খবর রাজার কাছে পৌঁছাতেই রানীকে শাস্তি দিতে উদ্যত হন রাজা। 

রানী গো মাংস কাপড়ের আড়ালে লুকিয়ে রেখে মা বিপত্তারিণীকে স্মরণ করতে থাকেন। আর এরপর সেই গো মাংস পরিণত হয়ে গেল লাল জবা ফুলে। মা কালীর পূজার ফুল দেখে রাজা ভুল বুঝতে পেরে রানীর কাছে ক্ষমা চান। বিপত্তারিণীর কৃপায় বিপদ কেটে গেলে রানী নিষ্ঠা সহকারে পূজা দেন।

Leave a Comment