কান ফেটে রক্ত পড়ছে! ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র সূর্যের গান শুনে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা শ্রোতাদের

Trisha

No comments

বর্তমানে বাংলা ধারাবাহিকের অত্যন্ত পরিচিত মুখ দিব্যজ্যোতি দত্ত (Dibyojyoti Dutta)। বাংলা সিরিয়ালের নাম উঠলেই সাথে সাথে যে সিরিয়ালটির নাম বর্তমানে উঠে আসছে তা “অনুরাগের ছোঁয়া”(Anurager  Chowa) বিগত ৩০বার পর পর টিআরপির শিরোমনিতে অবস্থান করছে এই সিরিয়াল। কিছুতেই টেক্কা দেওয়া যাচ্ছেনা তার জনপ্রিয়তাকে। সেই ধারাবাহিকের অভিনয় করছেন জি বাংলার ঘরের ছেলে!

নিজের আসল নাম দিয়ে যতটা না পরিচিতি লাভ করেছেন তার থেকে আরও বেশি পরিচিতি লাভ করেছেন দীপার সূর্য হিসেবে! ভাবনার অতীত ভালোবাসা স্নেহ পেয়েছেন তার অনুরাগীদের কাছ থেকে। কিন্তু তারপরেও এবার হাসির খোরাক হতে হলো সেই অনুরাগীদের কাছেই! কি এমন করেছিলেন সূর্য যার জন্যে তাকে হতে হলো এতো বদনাম! এই সবের পেছনে রয়েছে এক মাচা শো! সেই শোতে এতটাই বেসুরো গাইলেন যে ট্রোল হতে হল অভিনেতাকে।

আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে “জয়ী” ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে টলিপাড়ার ছোটপর্দায় আগমন ঘটে এই অভিনেতার। তখন থেকেই তিনি দর্শকদের স্নেহে হয়ে ওঠে জী বাংলার ঘরের ছেলে। ক্লাস ১২ এর পর মাত্র ১৮ বছর বয়স থেকেই অভিনয় জীবনে পদার্পন করেন তিনি। ‘চুনিপান্না’ থেকে ‘দেশের মাটি’র মত একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি।

নাকতলার বাসিন্দা দিব্যজ্যোতি ইতিহাসের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। অভিনয় আর ব্যবসাকে ঘিরে আকর্ষণ প্রচুর হলেও আপাতত তার ফোকাস অভিনয়েই। দুই যমজ বাচ্চার বাবা সূর্যর অভিনয় দেখে বোঝা যায়না তিনি এখনও ২৩ বছরের কলেজ পড়ুয়া যুবক!

এদিকে শীতকাল হলেই গ্রামে গঞ্জে একধরণের শো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে যা মাচা শো নাম পরিচিত, এই ওটিটির যুগে গ্রামের মানুষদের কাছে বিনোদনের একমাত্র রসদ এই মাচা শো। সেইখানকার এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়াতেই হাসির খোরাক হয়ে পড়েছে দিব্যজ্যোতি! পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর থানার অন্তর্গত ভারুচা গ্রামে মনসা পুজো উপলক্ষ্যে মোটা টাকার বিনিময়ে এক শোতে অদ্ভুত পোশাক পরে গান গাইতে গিয়েছিলেন তিনি।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে তিনি বলছেন ‘তোমার কুন কুন জায়গায় ব্যাথা গো বান্ধবী ললিতা’ র মত গান আমাকে করতে আমায় অনুরোধ করবেন না’। এরপরেই তিনি সবাইকে দেবের অভিনীত ‘বিন্দাস’ সিনেমার গান ‘বিন্দাস হয়ে নাচো রে’ গাইতে শুরু করেন। অভিনেতার গানের বহর দেখে নেটিজেনদের পালানোর মতো অবস্থা!

Leave a Comment