স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowa) দেখতে দেখতে দর্শকরা একঘেয়েমি অনুভব করছেন। সূর্য-দীপার (Surja-Deepa) মিলের আভাস পাওয়া গেলেও মিল সম্পন্ন হয়না। এখন সূর্য দীপার মিলের পর্বের পর দর্শকরা দেখছেন বাচ্ছা দুটোর সাথে বাবা-মায়ের মিল হচ্ছে না। সোনার মা দীপা কিন্তু এই সত্যিটা সে জানতে পারেনি। অন্যদিকে রূপা জানতে পেরেছে তার বাবা ডাক্তারবাবু, তা সত্ত্বেও ডাক্তারবাবু তাঁকে মেনে নেয়নি ।
সবার সাথে সবার অমিল হওয়ার পিছনে একজনের হাত রয়েছে সেটা হল মিশকা। সূর্যর বেস্ট ফ্রেন্ড। এই মিটার জন্যই সবাই দূরে দূরে রয়েছে। আর এই দূরে থাকার পরিণামে বেশি করে কষ্ট পাচ্ছে রূপা। তার মনের মধ্যে একটা খারাপ প্রভাব পড়ছে। বাবাকে সামনে পেয়েও বাবা বলে ডাকতে পারছেনা রূপা।
এমতাবস্থায় সাম্প্রতিক পর্বে দেখানো হয়েছে, উর্মির মা সোনাকে জানায়, সে অনাথ। তাঁর বাবা সূর্য নয়। এই কথা শুনে সোনা খুব কষ্ট পায়। সোনার কষ্ট দেখেও কেউ সত্যিটা প্রকাশ করছে না। রূপা জানে সোনা তার বোন কিন্তু যখনই সে সোনাকে এটা বলে দিতে চায়, তখনই তাকে আটকায় দীপা। আর এসব আচরণ দেখেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন দর্শকরা।
দর্শকরা বলছেন লাবণ্য সেনগুপ্ত সবটাই জানেন। কারণ সে নিজেই নাতনীদের জন্মের সময়ই বাচ্চা দুটোকে আলাদা করে দিয়েছিল। লাবণ্যের উচিত নাতনীদের মুখ চেয়ে সবটা প্রমাণ করে দেওয়া। দীপার উচিত সবটা বলা। আবার অনেকেই সূর্যকে দোষ দিচ্ছেন, রূপাকে কেন সে দূরে সরিয়ে রেখেছে। রূপার জন্য কি কোনো কষ্ট হয়না সূর্যর।
আবার কেউ বলছেন, দীপা কেমন মা? নিজের বাচ্চা এত কষ্ট পাচ্ছে, আর সে দাঁড়িয়ে আছে। সব দীপার নাটক। সত্যিটাতো বলে দিতে পারে। বাচ্ছা দুটো কষ্ট পাচ্ছে, আর সবাই মজা দেখছেন। লাবণ্য সেনগুপ্তরও এসব বেশ ভালো লাগছে । ‘ মন্তব্য গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে, দর্শকরা বিরক্ত হচ্ছেন। এই মন্তব্যের পর ধারাবাহিক নির্মাতা কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।
Leave a Comment