Doi Bora Recipe : এখন সবাই কমবেশি শরীর সচেতন। তাই বিকেল হইলেই হেলদি স্নাক্স কে না ভালোবাসে! তাই আজকে আমরা এমন এক রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি যা খেলে মনও ভরবে আবার শরীরও থাকবে সুস্থ। তাই দেরি না করে আসুন চটপট দেখে নেওয়া যাক আজকের রেসিপি তথা দইবড়া বানানোর সহজ পদ্ধতি (Doi Bora Cooking Recipe)।
ট্রাডিশনাল দইবড়া তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের লিস্টঃ
১. মাসকলাই ডাল- ১.৫ কাপ
২. লবন- ১ চা চামচ
৩. তেল- ১ কাপ
৪. জল- ৬ কাপ
৫. লবন – ১ চা চামচ
৬. চিনি- ১ টেবিল চামচ
৭. গোটা শুকনো লঙ্কা- ২ টা
৮. গোটা জিরা – ২ চা চামচ
৯. গোটা ধনিয়া- ২ চা চামচ
১০. তেঁতুল- ১/২ কাপ
১১. গরম জল- ১.৫ কাপ
১২. চিনি- ১/৪ কাপ
১৩. লাল লঙ্কা গুঁড়ো- ১ চা চামচ
১৪. লবন- ১/২ চা চামচ
১৫. কাঁচা লঙ্কা- ৪ টা
১৬. রসুনের কোয়া- ৩ টি
১৭. ধনে পাতা- ১ কাপ
১৮. টক দই- ১ টেবিল চামচ
১৯. টক দই- ২ কাপ
২০. চিনি- ৪ টেবিল চামচ
২১. লবন- স্বাদ মতো
২২. বরফ- ৪ টুকরো
ট্রাডিশনাল দইবড়া তৈরি করার স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতিঃ
► ট্রাডিশনাল দইবড়া বানাতে প্রথমেই আমাদের লাগবে দেড় কাপ মাসকলাইয়ের ডাল। একটি বাটিতে ডালটিকে ভিজিয়ে রাখতে হবে সরারাত। সারারাত ভেজানোর পর ডালকে ছাঁকনির সাহায্যে জল থেকে আলাদা করে মিহিকরে বেটে নিতে হবে। তারপর ডালকে হাতের সাহায্যে বা মেশিনের সাহায্যে ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে, যাতে করে ডালটা হালকা হয়ে যায়।
► ডালটা কিছুটা মোলায়েম ও fluffy হয়ে যাওয়ার পর একটা পদ্ধতির সাহায্যে খুব সহজেই বোঝা যায় এই মিশ্রণটি বড়া বানানোর জন্যে তৈরী হয়েছে কিনা। একটা ছোট বাটিতে সামান্য জল নিয়ে তার মধ্যে খানিকটা মিশ্রণ দিলে যদি সেটা জলের ওপর ভেসে থাকে, তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার মিশ্রণটি বড়া বানানোর জন্যে তৈরী।
► এরপর এই ডালের মিশ্রণটিতে সামান্য পরিমান লবন মিশিয়ে বড়া ভেজে নিতে হবে। বড়া ভাজার জন্যে প্রথম একটি কড়াইতে বেশ খানিক তা তেল নিয়ে দল গুলো পরিমান মতো ছেড়ে দিতে হবে এবং সোনালী হওয়া অবধি অপেক্ষা করতে হবে। এই পুরো প্রসেসটা কিন্তু গ্যাসের আঁচ কম রেখে করতে হবে, নইলে বড়া শক্ত হয়ে যাবে।
► এরপর বড়াগুলো ভেজানোর জন্যে একটা বাটিতে ৬ কাপ জলনিয়ে তাতে যোগ করতে হবে এক চামচ লবন, এক টেবিল চামচ পরিমান চিনি, দিয়ে ভালো করে জল গুলে নিয়ে তাতে বড়া গুলো দিয়ে দিতে হবে ৪৫ মিনিটের জন্যে।
► এরপর তৈরী করতে হবে ভাজা মশলা। তার জন্যে কড়াইতেচারটে শুকনো লঙ্কা, দুই টেবিল চামচ গোটা ধনিয়া, দুই টেবিল চামচ গোটা জিরা নিয়ে কিছুক্ষন গরম করে তাকে গুঁড়ো করে নিলেই তৈরী হয়ে যাবে ভাজা মশলা, যা আমাদের পরে ব্যবহারে লাগবে।
► এরপর তৈরী করত হবে তেতুলের চাটনি। যার জন্যে একটা বাটিতে ১/২ কাপ তেতুল নিয়ে তার মধ্যে দেড় কাপ গরম জল দিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। ১৫ মিনিট বাদে তেতুলের বীজ গুলো আলাদা করে জলে বাকি অংশটুটকু গুলি নিতে হবে। এরপর একটি কড়াইয়ে ১/৪ কাপ চিনি নিয়ে তাতে সামান্য জল দিয়ে কম আঁচে গরম করতে হবে, যতক্ষন না, চিনির রং ক্যারামেলের রঙের মতো হয়। রং চলে এলে তার মধ্যে এই তেতুলের নির্যাসটুকু যোগ করে দিতে হবে। এরপর একে একে এর মধ্যে যোগ করতে হবে লাল লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ ও স্বাদমতো লবন। তারপর আগে থেকে তৈরী করে রাখা ভাজা মশলা এর মধ্যে যোগ করে দিতে হবে।
► চাটনি তৈরী হয়ে যাওয়ার পর এবার তৈরী করে নিতে হবে সবুজ চাটনি। তার জন্যে নিয়ে নিতে হবে ৪টি কাঁচা লঙ্কা, তিনটি রসুনের কোয়া এবং ১ কাপ পরিমান ধনে পাতা, স্বাদ মতো লবন এবং এক চাচামচ টক দই। এই সমস্ত উপকরণ একসাথে নিয়ে পেস্ট বানিয়ে ফেললেই তৈরী হয়ে যাবে সবুজ চাটনি।
► এবারে তৈরী করতে হবে দই বড়ার দইয়ের মিশ্রণ। তার জন্যে একটা পাত্রে দুই কাপ পরিমান জল ঝরানো টক দই নিয়ে তাতে যোগ করতে হবে চিনি ৪ টেবিল চামচ, স্বাদ মতো লবন ও ক্রিমি ভাব তা বাজিয়ে রাখার জন্যে ৪ টি বরফ টুকরো। ভালো করে মিশ্রণটি এবারে মিশিয়ে নিতে হবে।
► এরপর আগের থেকে ভিজিয়ে বড়া গুলোকে জল থেকে তুলে সামনেও হাতের চাপের মাধ্যমে জল ঝরিয়ে তাদের এই দিকে মধ্যে মাখিয়ে নিতে হবে। এবার আসবে সাজানোর পালা। দই মেশানো বড়াগুলোর মধ্যে একে একে দিয়ে দিতে হবে সবুজ চাটনি ও তেতুল চাটনি। ঘরে যদি ঝুরিভাজা থাকে তাহলে তাও দিয়ে দিতে পারেন। এভাবেই তৈরী হয়ে যাবে ট্রাডিশনাল দইবড়া।
Leave a Comment