Yaganti Uma Maheshwara Mandir Nandi Murti : সারাবিশ্বে তথা ভারতের নানা অংশে ছড়িয়ে রয়েছে হাজার হাজার মন্দির(Temple)। তাদের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে নানা গল্প,নানা রহস্য। অন্ধ্রপ্রদেশের(Andhra Pradesh) যগন্তী উমা মহেশ্বরা মন্দির(Yaganti Uma Maheshwara Mandir) এমনই এক মন্দির, যার ভেতরে লুকিয়ে রয়েছে এক অদ্ভুত রহস্য! স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই মন্দিরের মধ্যে অবস্থিত নন্দীর(Nandi Murti) পাথরের মূর্তিটি নাকি প্রত্যেক বছর একটু একটু করে আয়তনে বেড়ে ওঠে!
কুড়ি বছর আগে নন্দীর যে আয়তন ছিল, বর্তমানে তার চেয়ে বড়। তাঁদের মতে, ঐশ্বরিক ক্ষমতায় বাড়তে থাকেন নন্দী! এই প্রতিবেদনে জেনে নিন এর পেছনের রহস্য। সঙ্গমা রাজবংশের রাজা হরিহর বুক্কা দ্বারা ১৫ শতকে এই মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু এই মন্দিরের আসল রহস্য হলো এই মন্দিরের স্থাপন করা নন্দী মূর্তি। কথিত আছে, মন্দিরে অবস্থিত নন্দী মহারাজের মূর্তিটি ক্রমাগত রহস্যজনক ভাবে বিশাল হয়ে উঠছে।
এখানেই চমকের শেষ নয়, মন্দির সংলগ্ন এলাকায় কাকেদের যথেষ্ট আনাগোনা থাকলেও, মন্দিরে কোনও কাকের দেখা মেলেনা! স্থানীয়দের বিশ্বাস, মন্দিরের এক প্রান্তে অগস্ত গুহায় নাকি শিবের আরাধনায় মগ্ন ছিলেন ঋষি অগস্ত । সেই সময়ে তাঁকে একদল কাক বিরক্ত করে। তখন ঋষি অভিশাপ দিয়েছিলেন, মন্দির চত্বরে আর কখনও কাকেরা প্রবেশ করতে পারবে না।
নন্দী মূর্তির আকার প্রতি ২০ বছরে প্রায় এক ইঞ্চি করে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর কারণে মন্দিরের অনেক স্তম্ভও সরাতে হয়েছে। কথিত আছে যে নন্দী মূর্তির আসল আকার ছিল খুবই ছোট। যগন্তী উমা মহেশ্বরা মন্দিরের ভিতরে একটি পুষ্করিণী রয়েছে… বারো মাস তাতে জল থাকে। মনে করা হয়, নন্দির মুখ থেকেই নাকি এই জল নির্গত হয়।
এ তো গেল বিশ্বাসের কথা, তবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI)-র আধিকারিকরা নন্দীর মূর্তিটি পরীক্ষা করে জানান, পাথরটি খোদাই করে নন্দীর মূর্তিটি তৈরি হয়েছে, সেই পাথর স্বভাবজাত কারণেই আয়তনে বাড়ে। গত কুড়ি বছরে মূর্তিটি সত্যিই আকারে এক ইঞ্চি বৃদ্ধি পেয়েছে।
Leave a Comment